লেখকঃ অরুন্ধতী রায়

লেখক পরিচিতি

অরুন্ধতী রায়

অরুন্ধতী রায় (জন্ম: ২৪ নভেম্বর, ১৯৬১) একজন ভারতীয় ঔপন্যাসিক এবং রাজনৈতিক সক্রিয়তাবাদী। তিনি পরিচিত হয়ে আছেন তাঁর পুরস্কার বিজয়ী উপন্যাস দ্য গড অব স্মল থিংসের জন্যে। ১৯৯৭ সালে প্রকাশিত এ উপন্যাসটি ১৯৯৮ সালের ম্যান বুকার পুরস্কার লাভ করেছিল। এছাড়াও তিনি পরিবেশগত সংশ্লিষ্টতা এবং মানবাধিকার সংক্রান্ত বিষয়েও জড়িত আছেন।

প্রারম্ভিক জীবন
ভারতের আসাম রাজ্যের শিলংয়ে অরুন্ধতী জন্মগ্রহণ করেন।[১] তাঁর পিতা রঞ্জিত রায় বাঙালি হিন্দু হিসেবে চা-কর্মী এবং মা সিরিয়ান খ্রিস্টান ম্যারি রায় নারী অধিকার কর্মী ছিলেন। কেরালার আয়মানাম এলাকায় শৈশবকাল অতিক্রান্ত করেন। কত্তায়ামের কর্পাস ক্রিস্টি বিদ্যালয়ে গমন করেন। এরপর তামিলনাড়ুর নীলগিরিতে লরেন্স বিদ্যালয়ে ভর্তি হন। স্থাপত্যবিদ্যা বিষয়ে দিল্লির পরিকল্পনা ও স্থাপত্য বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন। সেখানেই তিনি তার প্রথম স্বামী স্থাপত্যবিশারদ গেরার্ড দ্য কুনহা'র সাথে পরিচিত হন।

১৯৮৪ সালে প্রদীপ কৃষাণ নামীয় চলচ্চিত্র নির্মাতাকে দ্বিতীয়বারের মতো স্বামীত্বে বরণ করেন। ১৯৮৫ সালে পুরস্কার বিজয়ী চলচ্চিত্র মাসি সাহিবে উপজাতীয় বালিকার চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। দ্য গড অব স্মল থিংসের সাফল্যের পূর্বে আর্থিক সচ্ছলতা আনয়ণে অনেকগুলো কাজে নিজেকে সম্পৃক্ত করেন। তন্মধ্যে - দিল্লির পাঁচতারা হোটেলে এরোবিক্‌স ক্লাশ পরিচালনা করা অন্যতম। অরুন্ধতী'র কাকাতো ভাই প্রণয় রায় প্রচার মাধ্যমের অন্যতম পুরোধা হিসেবে টিভি মিডিয়া গ্রুপ এনডিটিভির প্রধান।[২]

বর্তমানে অরুন্ধতী রায় দিল্লিতে বসবাস করছেন।

পুরস্কার
দ্য গড অব স্মল থিংস উপন্যাসের জন্যে ১৯৯৭ সালে বুকার পুরস্কার লাভ করেন অরুন্ধতী। এ পুরস্কারের অর্থ মূল্য ছিল $৩০,০০০।[৩] পুরস্কার প্রদান উৎসবে আয়োজক কমিটি উল্লেখ করেন, 'বইটিতে সকল বিষয়াবলি অন্তর্ভুক্ত হয়েছে যা ইতোমধ্যেই সৃষ্ট হয়েছে'।[৪] এর পূর্বে তিনি 'ইন হুইচ এনি গিভস ইট দোজ ওয়ানসে'র জন্যে ১৯৮৯ সালে সেরা চিত্রনাট্যকার হিসেবে ন্যাশনাল ফিল্ম এ্যাওয়ার্ড অর্জন করেন।[৫]

২০০২ সালে তিনি লান্নান ফাউন্ডেশনের 'সাংস্কৃতিক মুক্তি পুরস্কার' লাভ করেন। 'বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী সরকার ও সংস্থাগুলো কর্তৃক সাধারণ নাগরিকগোষ্ঠীর উপর প্রভাব বিস্তার' শিরোনামীয় প্রবন্ধে তাঁর জীবন উৎসর্গ এবং মুক্তি, ন্যায়বিচার ও সাংস্কৃতিক বৈষম্য দূরীকরণের বিষয়াবলি তুলে ধরা হয়েছিল।[৬]

ঠিকানা