লেখকঃ গালিব হরমুজ

লেখক পরিচিতি

গালিব হরমুজ


আগের নাম ছিল হরমুজ আলী খান। শিক্ষক ও সাহিত্যিক আব্দুর রহিম আসাদী গালিব | যুক্ত করায় এখন গালিব হরমুজ নামে পরিচিত। জন্ম বাংলা ১৩৩৩ সালে যশাের সদর থানার বসুন্দিয়া নামে এক নিভৃত পল্লীতে। যেখান থেকে দিগন্ত ব্যাপী আলাে বিস্তৃত হতে না পারায় থাকে গন্ডির মধ্যে। শিক্ষা ডিগ্রী থেকে কয়েক হাজার মাইল দূরে অর্থাৎ সপ্তম শ্রেণীতে সীমাবদ্ধ।
বিদ্যার সল্পতা পারেনি বিঘ্ন ঘটাতে। দেশ ভ্রমণের জ্ঞান সুগম করে দিয়েছে সাহিত্য চর্চার পথ। তাতে সহায়তা করেছে লেখার গতি। বিনা পরিবেশে যে কোন নতুনত্ব একবারে চূড়ান্ত ঘন্টায় ৬শ শব্দ লেখায় অভ্যস্ত। তাছাড়া লেখার হাত গল্প, উপন্যাস, ইতিহাস, প্রবন্ধ, ফিচার, রম্যরচনা, কিংবদন্তী, প্রতিবেদন, সমীক্ষা, ছড়া, কবিতা, গান ও সব ধরণের নাটক।
এসব লেখা প্রকাশ হয়েছে কোন কোন গ্রন্থে এবং বিভিন্ন পত্রিকায়। | নিজের লেখা প্রকাশ হয়নি বা হচ্ছে না এবং সাক্ষাঙ্কারও ছাপা না হয়েছে বা হচ্ছে না। এমন পত্রিকা বিরল সাংবাদিকতায়ও পিছিয়ে নেই, একাধিক পত্রিকার সঙ্গে সম্পৃক্ত। তবে লেখা লেখির হাতে খড়ি কচি শিশুর ন্যায় হাটি হাটি পা-পা অর্থাৎ ১৯৮৯ এর প্রথম থেকে।
এরই মধ্যে নিজের প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা ৮টা। সব ধরনের অনেক পান্ডুলিপি রইলেও | বিভিন্ন সমস্যার কারণে যায় না প্রকাশ করা। | আবেগনুযায়ী গ্রন্থ প্রকাশ না হওয়ায় মনে যে দুঃখ জাগে তার চেয়ে অধিক পাই সমাজের চিত্র দেখে। তাই ভাবতে হয় যে শিক্ষা ভিন দেশীদেরকে পৌঁছে দিচ্ছে উন্নতির উচ্চ
শিখরে, সে শিক্ষায় আমাদের অবনতির কারণ কী? মনে হচ্ছে টর্চলাইন স্বরূপ শিক্ষক গণের কাচ ময়লায় আচ্ছাদিত হওয়ায় শক্তিশালী ব্যাটারী ব্যবহার করে উজ্জ্বল আলাের পরিবর্তে রূপ | নিচ্ছে ক্ষীণতায়। সুতরাং কাঁচের ময়লা পরিষ্কার করা বাঞ্ছনীয়। তাছাড়া যে সাহিত্য সংস্কৃতির সূত্র ধরে মানুষ পৌছাতে সক্ষম হলাে জ্ঞানের শীর্ষস্থানে, তা বর্জন করায় সমাজের গতি অধঃপতন অভিমুখী। গতিরােধ করার একটাই পথ কৃষ্টির ওপরে প্রাধান্য দেওয়া।

ঠিকানা