শ্রেষ্ঠ জিহাদ
লেখকঃ ইমাম খোমেনী
প্রকাশনীঃ ইমাম প্রকাশনী
ইরানে সংঘটিত ইসলামী বিপ্লব বিষয়ে অনেক কিছুই লেখা হয়েছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও ইমাম খোমেনীর অর্জিত মহা বিজয় লাভের মুলে নিহিত তত্ত্ব-রহস্য উদঘাটনের প্রয়োজনে অনুসন্ধান চালানাে একান্তই অাবশ্যকীয় হয়ে দেখা দিয়েছে।
অমুসলিম লেখকদের পক্ষে একজন ঈমানদার ইসলামী নেতার বিজয় ও সাফল্য লাভের নিগুঢ় তত্ত্ব অনুধাবন করা কিছুতেই সম্ভবপর হতে পারে না। কেননা তারা তাে পাশ্চাত্য কিংবা প্রাচ্য চিন্তা-পদ্ধতির অধীন ও অনুসারী, তাই ইসলামের নিগুঢ় তত্ত্ব ও বিপ্লবী ভাবধারার সাথে সম্পূর্ণরূপে সম্পর্কহীন। ইরানে যা কিছু ঘটেছে তার নিগড় তত্ত্ব অনুধাবন ও রহস্য উঘাটন কেবলমাত্র সেই লোকদের পক্ষেই সম্ভব, যারা মহান আল্লাহর প্রতি ঐকান্তিকভাবে ঈমানদার। যারা পর্যবেক্ষণের মৌল নীতিসমূহই হারিয়ে ফেলেছে তারা উত্তরকালে ঈমান ও ইনসাফের নিগত তত্ত্ব অনুধাবনের কোন অবকাশই পায়নি। তাদের অনুসন্ধান কার্য বস্তুগত হিসাব-নিকাশের ধূসর মরুপ্রান্তরে হাতড়িয়ে নিঃশেষ হয়ে যায়, তাগুতী শক্তি সমূহকে চূড়ান্তভাবে ধ্বংস করে লেয়ার মুমিনগণের আয়ত্তাধীন শক্তি ও ক্ষমতার রহস্য কোন দিনই তারা উদঘাটন করতে সমর্থ হয় না।
বস্তুতঃ ইসলামী বিপ্লবের সাফল্য ও সে ব্যাপারে আল্লাহর সর্বাত্মক সাহায্য লাভের জন্য ইসলামের দৃষ্টিকোণ থেকে সর্বপ্রথম শর্ত হচ্ছে ইখলাস-একমাত্র আল্লাহ র জন্য ঐকান্তিক নিষ্ঠা। আর তার অর্থ ঈমানের সত্যতা যথার্থতা এবং ঈমানের গভীরতা ও সক্ষমতা। ইমাম আয়াতুল্লাহ খোমেনীর এই দু'টি মহৎ গুণ কি পর্যায়ের ও কি মাত্রার ছিল, এ গ্রন্থটি থেকে তা স্পষ্ট ও সমকভাবে জানা যাবে।
জানা আবশ্যক, এ বইখানি মূলতঃ গ্রন্থাকারে রচিত ছিল না। এ বইটি হয়েছে কয়েকটি ভাষণের সমষ্টি, যা ইমাম খোমেনী ইরাক নজফ আশরাফ-এর জামেয়া-ই-ইলমিয়ার ছাত্রদের সামনে পেশ করেছিলেন। তাকে ইরান থেকে নির্বাসিত করা হয়েছিল তুরস্কে, পরে সেখান থেকে ইরাকে। এ ভাষণ গুলো সেই সময়ই প্রদান করেছিলেন।