মুসলিম আন্তর্জাতিক আইন
লেখকঃ মজীদ খাদ্দুরি
প্রকাশনীঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন
আধুনিক আন্তর্জাতিক আইনের ক্ষেত্রে শায়বানী একটা সুপরিচিত নাম। পাশ্চাত্যের বহ, মনীষী তাকে মুসলমানদের হিউগো গ্লোশিয়াস হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। শায়বানীর ওপর গভীর অধ্যয়নের জন্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ‘শায়বানী সােসাইটি অব ইন্টারন্যাশনাল ল'। এমনকি উচ্চতর শ্রেণীতেও শায়বানীর জীবন ও সাধনা সম্পর্কে পড়ান হয়। অন্যান্য রাষ্ট্রের সাথে মুসলিম রাষ্ট্রের সপক বিষয়ের ওপর তাঁর অবদান এখনও শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করা হয়। হিউগো গ্লোশিয়াসের বহ, পবেই মুসলিম আন্তজাতিক আইন সম্পর্কে তিনি এমন কতকগুলো মৌলিক বিষয়ের অবতারণা করেন যা পরবর্তী যুগে অনুসরণীয় সব হিসেবে গৃহীত হয়। মুসলিম আইন বিজ্ঞানের ছাত্রদের কাছে শায়বানীর রচনা অত্যন্ত মূল্যবান দলিল হিসেবেই গণ্য হয়ে থাকে। কারণ এই বিষয়ের ওপর তিনিই সর্বপ্রথম বিক্ষিপ্ত রচনা সামগ্রীকে একত্রিত করে দৃঢ় ভিত্তির ওপর তা সুপ্রতিষ্ঠিত করেন। এজন্য তাকে মুসলিম আইন বিজ্ঞানের জনক হিসেবে আখ্যায়িত করা হয় এবং সত্যিকারভাবে তিনি এই সম্মান পাওয়ার যােগ্যতম ব্যক্তি।
মসেলিম আন্তজাতিক আইন বিজ্ঞানের এই অনন্য সাধারণ প্রতিভা শায়বানীকে আমরা ভুলতে বসেছি। আমাদের অনেকেই তাঁর সম্পর্কে খুব বেশি একটা জানেন বলে মনে হয় না। ইসলামী আইনের ওপর লিখিত তাঁর বহ, গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। অথচ তার জীবন ও সাধনা সপকে আমরা প্রায় অন্ধকারেই রয়ে গেছি। | এই প্রেক্ষিতেই অধ্যাপক মজীদ খাদ্দুরির ‘দি ইসলামিক ল’ অব নেশনস। শায়বানীজ সীয়ার'-এর বঙ্গানুবাদ করা হয়েছে।