হযরত ওসমান ইবন আফফান (রা)
ওসমান ইবন আফফান (রা) পরবর্তীকালে ইসলামের তৃতীয় খলীফা। মূল নাম ওসমান। ডাক নাম বেশ কয়েকটি –আবূ আবদুল্লাহ, আবূ লায়লা, আবূ আমর ইত্যাদি। আব্বার নাম আফফান, মায়েল নাম আরওয়া বিনতু কুরাইশ। বংশের দিক থেকে কুরাইশ বংশের উমাইয়া শাখার লোক ছিলেন তিনি। তাঁর মা আরওয়া মহানবী (সা)-এর ফুফাতো বোন ছিলেন অর্থাৎ ওসমান ছিলেন মহানবী (সা)-এর ভাগিনা।

তিনি ৫৭৬ খৃষ্টাব্দে অর্থাৎ রাসূলুল্লাহ (সা)-এর ছ’বছর পরে জন্ম গ্রহণ করেন। তাঁর উপাধি ছিল, গণী, যুননূরাইন, আস সাবেকুনাল আওয়ালুন ও যুল হিজরাতাইন। তাঁর শিক্ষা জীবন সম্পর্কে তেমন কিছু জানা যায় না। তবে তিনি যে একজন শিক্ষিত মানুষ ছিলেন তা দিবালোকের মত পরিস্কার। ‘কাতিবে অহী’ অর্থাৎ অহী লেখক হযরত ওসমান তাঁর যুগের অন্যতম কুষ্ঠিবিদ্যা বিশারদ ছিলেন। তিনি কুরাইশদের প্রাচীন ইতিহাস সম্বন্ধে আদ্যপান্থ জ্ঞান রাখতেন। তিনি পণ্ডিত অথচ বিনয়ী ছিলেন। তাঁর সৌজন্য ও লৌকিকতা বোধের কথা কিংবদন্তী হয়ে আছে। তিনি অত্যন্ত লাজুক স্বভাবের মানুষ ছিলেন। সাথে সাথে ছিলো তাঁর প্রখর আত্মমর্যাদা বোদ। যৌবনে হযরত ওসমান (রা) অন্যান্য কুরাইশদের মত ব্যবসা শুরু করেন। সততা, নিষ্ঠা ও কর্মদক্ষতার গুণে তিনি ব্যবসায় অসম্ভব সাফল্য অর্জন করেন। এমনকি অতি অল্প কালের মধ্যেই প্রচুর ধন সম্পদের মালিক হওয়ার কারণে তিনি গণী উপাধিতে ভূষিত হন। রাসূলের (সা) নবুয়াত প্রাপ্তির প্রাথমিক পর্যায়ে যাঁরা ইসলাম গ্রহণ করার সৌভাগ্য অর্জন করেন হযরত ওসমান (রা) তাদের মধ্যে অন্যতম। তিনি নিজেই বলেন, ‘আমি ইসলাম গ্রহণকারী চারজনের মধ্যে চতুর্থ’।

খোঁজ খবর দিয়ে যতদূর জানা যায় হযরত আবূ বকর, আলী ও যায়িদ ইবনে হারিসের পরে তিনি ইসলাম গ্রহণ করেন। এজন্য হযরত ওসমানকে আস সাবেকুনাল আওয়ালুন বা প্রথম পর্বে ইসলাম গ্রহণকারী বলা হয়। আর রাসূল (সা) যে ছ’জন প্রধানত সাহাবীর প্রতি আমৃত্যু খুশী ছিলেন, তিনি তাঁদের মধ্যে একজন। সবচেয়ে বড় কথা তিনি ছিলেন ‘আশরায়ে মুবাশশারা’র অন্তর্গত। হযরত ওসমান (রা)-এর ইসলাম গ্রহণের ব্যাপারে নানা কথা শোনা যায়। কেউ কেউ বলেন, তাঁর খালা সু’দা ঐ যুগের একজন বিশিষ্ট ‘মাহিন’ বা ভবিষ্যদ্বক্তা ছিলেন। তিনি ওসমানকে মহানবী সম্বন্ধে আগাম কিছু কতা বলেন এবং তাঁর অনুরক্ত হওয়ার ব্যাপারে উৎসাহিত করেন। এই খালার উৎসাহতেই তিনি ইসলাম কবুল করেন। অন্য মতে ওসমান যখন সিরিয়া সফরে যান সে সময়ে তিনি ‘মুয়ান ও যারকার’ মধ্যবর্তী জায়গায় বিশ্রাম করছিলেন, এক পর্যায়ে তাঁর তন্দ্রা আসলে তিনি শুনতে পান, ‘ওহে ঘুমন্ত ব্যক্তিরা, তাড়াতাড়ি কর। আহমদ নামের রাসূল মক্কায় আত্মপ্রকাশ করেছেন’। মক্কায় ফিরে তিনি খোঁজ নিয়ে জানলেন ঘটনা সত্য। এরপর তিনি প্রিয় বন্ধু আবূ বকর সিদ্দিকের আহবানে ইসলাম কবুল করেন। ইসলাম কবূলের পর ওসমানে স্বাগত জানিয়ে তার খালা সু’দা একটি কাসীদা লিখেন।

ওসমানের ভাই-বোনসহ পরিবারের সবাই ইসলাম কবুল করেছিলেন। তাঁর বোন উম্মে কুলসুম সেই সৌভাগ্যবত কুরাইশ বধু যিনি প্রথম রাসূল (সা) এর হাতে বাইয়াত হন। ওসমান ইবনে আফফান ছিলেন একজন ধনকুবের ও অত্যন্ত সম্মানিত ব্যক্তি। কিন্তু ইসলাম গ্রহণের পর তাঁর ওপরও নেমে আস অকথ্য নির্যাতন। তাঁরই চাচা হাকাম ইব নআবিল ‘আস’ ইসলাম গ্রহণের কারণে তাকে বেঁধে পিটাতো আর বলতো, ‘এ নতুন ধর্মগ্রহণ করে তুমি আমাদের বাপ-দাদার মুখে কালি দিয়েছো। এ ধর্ম ত্যাগ না করা পর্যন্ত তোমাকে ছাড়া হবে না’। কিন্তু সত্যের সাধক, মর্দে মূমীন ওসমান (রা) এ সময় অবিচল থেকেছেন এবং বলিষ্ঠ কণ্ঠে ঘোষণা করেছেন, ‘তোমাদের যা ইচ্ছে করতে পার, আমি এ দ্বীন কখনো ছাড়বো না’। ইসলাম গ্রহণের পর নবী নন্দিনী রুকাইয়াকে বিয়ে করেন। হিজরী দ্বিতীয় সনে রুকাইয়া ইন্তেকাল করেন। রাসূল (সা) ওসমানের ওপর এতো বেশী খুশী ছিলেন যে রুকাইয়ার ইন্তেকালের পর তিনি অপর কন্যা উম্মে কুলসুমকে ওসমানের সাথে বিবাহ দেন। এ জন্যই তাঁর উপাধি ‘যুননুরাইন’ অর্থাৎ দুই জ্যোতির অধিকারী। উম্মে কুলসুম হিজরী ৯ সনে নিঃসন্তান অবস্থায় ইন্তেকাল করেন। কুলসুমের মৃত্যুর পর রাসূল (সা) বলেন, ‘আমার যদি তৃতীয় কোন মেয়ে থাকতো তাকেও আমি ওসমানের সাথে বিয়ে দিতাম’। রুকাইয়ার সাথে ওসমানের দাম্পত্য জীবন ছিল খুব মধুর। ওসমান যখন অন্যান্য মুসলমানদের সাথে হাবসায় হিজরত করেন তখন রুকাইয়া তাঁর সাথে ছিলেন। হযরত ওসমান (রা) সেই ব্যক্তি যিনি মদীনায়ও হিজরত করেন। এ জন্যই তাঁকে ‘যুল হিজরাতাইন’ অর্থাৎ দুই হিজরতের অধিকারী বলা হয়। হযরত ওসমান নরম দিলের মানুষ ছিলেন কিন্তু অপর দিকে ছিলেন সাহসী যোদ্ধা। তিনি একমাত্র বদর ছাড়া অপর সকল যুদ্ধেই অংশ গ্রহণ করেছিলেন। বদর যুদ্ধে না যাওয়ার কারণ ছিল বদরের যুদ্ধে যাওয়ার সময়ে ওসমানের স্ত্রী নবী দুহিতা হযরত রুকাইয়া ছিলেন দারুণভাবে অসুস্থ। যে জন্যে রাসূল (সা) তাঁকে যুদ্ধে যেতে নিষেধ করেন। ঘটনাক্রমে যেদিন বদরের যুদ্ধে মুসলমানদের বিজয়ের সংবাদ মদীনায় পৌঁছায় ঐ দিনই রুকাইয়া ইন্তেকাল করেন। রুতাইয়ার একজন পুত্র সন্তান ছিল নাম আবদুল্লাহ। এ কারণেই ওসমানের ডাক নাম হয় আবূ আবদুল্লাহ। কিন্তু আবদুল্লাহ হিজরী ৪ সালে মারা যান। দান দক্ষিণার ক্ষেত্রে ওসমানের ভূমিকা কিংবদন্তির মত সারা বিশ্বে মশহুর হয়ে আছে। আল্লাহ যেমন তাঁকে প্রভূত সম্পদ দান করেছিলেন তেমনি তাঁর দিলও করেছিলেন বড়। যতদূর জানা যায় ঐ সময়ে আরবে তিনিই ছিলেন শ্রেষ্ঠ ধনী। কিন্তু তিনি তাঁর ধন সম্পদকে কুক্ষিগত করে রাখেননি। ইসলাম গ্রহণের পরে তাঁর সম্পদ মুসলমানদের কল্যাণে বিলিয়ে দেন। তাবুক যুদ্ধের খরচের জন্য সাহাবীরা অত্যন্ত খোলা মনে যুদ্ধফাণ্ডে অকাতরে সাহায্য করলেন। এ সময়ে হযরত ওমর তাঁর সম্পদের অর্ধেক এনে রাসূল (সা)-এর হাতে তুলে দিলেন। হযরত আবূ বকর দিলেন তার সমস্ত অর্থ। আর হযরত ওসমান পুরা যুদ্ধের এক তৃতীয়াংশের ব্যয়ভার বহন করণের। এ যুদ্ধে তিনি সাড়ে নয় শো উট, পঞ্চাশটি ঘোড়া ও এক হাজার দিনার দান করেন। সেদিন ওসমানের দানে রাসূল (সা) এতো খুশী হয়েছিলেন যে দিনার গুলো নাড়াচাড়া করতে করতে তিনি বলেন ‘আজ থেকে ওসমান যা কিছুই করবে, কোন কিছুই তার জন্য ক্ষতিকর হবে না’। একটি বর্ণনায় আছে, ‘তাবুকের যুদ্ধে তাঁর দানে সন্তুষ্ট হয়ে রাসূল (সা) তাঁর আগে পিছের সকল গুনাহ মাফের জন্য দোয়া করেন এবং তাঁকে জান্নাতের ওয়াদা করেন’।

মুধু তাবুক যুদ্ধেই নয় অন্যান্য যুদ্ধের প্রস্তুতি লগ্নেও তিনি মন খুলে দান করতেন।

তোমরা নিশ্চয় হুদাইবিয়ার সন্ধির কথা শুনেছো। এই সন্ধি হবার আগে হযরত ওসমানকে নিয়ে দারুণ আবেগময় একটা ঘটনা ঘটেছিলো। রাসূল (সা) সাহাবা কেরামসহ হজ্ব পালনের উদ্দেশ্যে মক্কার অদূরে হুদাইবিয়া নামক স্থানে তাবু গাড়েন। পরে মক্কার নেতৃবৃন্দকে অবহিত করার জন্য হযরত ওসমানকে এ খবর দিয়ে পাঠালেন যে, আমরা যুদ্ধ নয়, বরং বাইতুল্লাহর যিয়ারতের উদ্দেশ্যে এসেছি’।

ওসমান (রা) রাসূল (সা) এর বার্তা নিয়ে মক্কায় পৌঁছলে আরব নেতৃবৃন্দ তাঁকে তওয়াফ করার অনুমতি দেন। কিন্তু তিনি তা ঘৃণা ভরে প্রত্যাখ্যান করে বলেন, ‘আল্লাহর রাসূল (সা) যতক্ষণ তওয়াফ না করেন ততক্ষণ আমি তওয়াফ করতে পারিনা’। তাঁর স্পষ্ট কথায় ক্ষুব্ধ হয়ে বেঈমান কাফেররা তাঁকে তিনদিন আটকে রাখে। কিন্তু ঘটনাক্রমে হুদাইবিয়ার মুসলিম শিবিরে এ গুজব ছড়িয়ে পড়ে যে, মক্কার কাফেররা ওসমান (রা) কে শহীদ করেছে। এ সংবাদ শোনার সাথে সাথে রাসূল (সা) ঘোসনা করলেন, ‘ওসমানের রক্তের বদলা না নিয়ে আমরা প্রত্যাবর্তন করবো না। রাসূল (সা) তাঁর ডান হাত বাম হাতের ওপর রেখে বলেন, ‘হে আল্লাহ। এ বাইয়াত ওসমানের পক্ষ থেকে। সে তোমার ও তোমার রাসূলের কাজে মক্কায় গেছে’। মক্কা থেকে ফিরে এসে বাইয়াতে রিদওয়ান ইত্যাদি নামে পরিচিত। তোমার শুনলে খুশী হবে যে, পবিত্র কোরআনে এ বাইয়াতের প্রশংসা করে আয়াত নাযিল হয়’।

ওসমান (রা) অত্যন্ত সহজ সরল মানুষ ছিলেন। তিনি সব কিছুকেই স্বাভাবিক ভাবে গ্রহণ করতে পারতেন। রাসূল (সা) ওয়াতের পর পরই খলিফা নির্বাচনের ব্যাপারে যখণ তিনি শুনলেন আবূ বকরের হাতে বাইয়াত নেয়া হচ্ছে তখন তিনি দ্রুত সেখানে যান ও বিনা বাক্য ব্যয়ে আবূ বকরের হাতে বাইয়াত গ্রহণ করেন। হযরত ওমরের (রা) হাতে তিনিই প্রথম বাইয়াত হন। পরে তাঁর দেখাদেখি অন্যান্যরাও বাইয়াত গ্রহণ করেন। আনন্দের ব্যাপার হলো ওমর (রা) কে খলীফা মনোনীত করে হযরত আবূ বকর (রা) যে অঙ্গীকার পত্রটি লিখে যান তার লেখক ছিলেন স্বয়ং ওসমান (রা)।

হযরত ওমর (রা) কাউকে খলীফা হিসাবে মনোনয়ন দিয়ে যাননি। তিনি আলী, ওসমান, আবদুর রহমান, সা’দ, যুবাইর ও তালহা এই ছয়জনের মধ্য থেকে একজনকে নির্বাচন করার পরামর্শ প্রদান করেন। তিনি নির্বাচনের সময় নির্ধারণ করেন তাঁর মৃত্যুর তিন দিন তিন রাত্রি পর। হযরত ওমর (রা) যখন মৃত্যুবরণ করেন তখন তালহা মদীনায় ছিলেন না। তাই ওপরের বাকী পাঁচজন হরযত আয়েশা (রা)-এর হুজরায় একত্রিত হলেন, এ সময় তাঁদের সাথে ছিলেন হযরত ওমরের (রা) পুত্র আবদুল্লাহ (রা)। খলীফা নির্বাচনের ব্যাপারে যাঁকে ওমর (রা) সহযোগিতা করতে বলেছিলেন। অনেক আলাপ আলোচনার পর উক্ত ছয়জন হযরত আবদুর রহমানকে শালিশ নির্বাচন করেন, অর্থাৎ নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব দেন।

হযরত আবদুর রহমান বিশিষ্ট সাহাবায়ে কেরাম, সেনা কর্মকর্তা, বিশিষ্ট নাগরিকসহ সর্বস্তরের প্রতিনিধি স্থানীয় মানুষ জনের সাথে আলাপ আলোচনা করেন। এরপর ১লা মুহাররম ২৪ হিজরীতে মসজিদে নববীতে প্রচুর লোকের সামনে খলীফা হিসাবে ওসমান ইবনে আফফান (রা)-এর নাম ঘোষণা করেন। সংগে সংগে উপস্থিত জনতা ওসমান (রা)-এর হাতে বাইয়াত গ্রহণ করেন।

খিলাফতের দায়িত্ব ওসমান (রা) যথাযথ দায়িত্বশীলতার সাথে পালন করেন। তিনি সর্বমোট প্রায় বার বছর এ দায়িত্বে অধিষ্ঠিত ছিলেন।

তাঁর দায়িত্ব প্রাপ্তির প্রথম ছয় বছর দেশে শান্তি শৃংখলা বিরাজিত ছিল কিন্তু দ্বিতীয় ছয় বছরে তাঁর বিরুদ্ধে নানা রকম কথা ওঠে। এখানে তোমাদের একটা কথা জেনে রাখা দরকার যে, এ সময়ে খলীফা শাসিত অঞ্চলে যথেষ্ঠ ইয়াহুদি খৃষ্টান বাস করতো। মুসলমানদের শাসনে থাকার কারণে তারা প্রথম দিকে চুপচাপ ছিল ঠিকই কিন্তু যতই দিন যেতে লাগলো ততই এসব পরাজিত শক্তি মাথা চাড়া দিতে লাগলো। মূলত এরাই হযরত ওসমানের বিরুদ্ধে নানা রকম মিথ্যা অভিযোগ উত্থাপন করে সাধারণ মানুষকে ক্ষেপিয়ে তুলতে লাগলো। দুর্বল ঈমানের মুসলমানরাও এ সমস্ত চক্রান্ত কারীদের ফাঁদে সহজেই পা দিলো। ফলে খুব দ্রুত অবস্থার অবনতি হলো। বিদ্রোহীরা খলীফার বাড়ির ভেতর ঢুকে পড়ে রোজাদার খলীফাকে কোরআন তেলাওয়াত রত অবস্থায় হত্যা করলো। ঘটনাটি ঘটে হিজরী ৩৫ সনের ১৮ই জিলহজ্জ শুক্রবার বাদ আসর। মাগরিব ও এশার মাঝামাঝি সময়ে যুবাইর ইবন মুতঈম (রা)-এর ইমামতিতে জান্নাতুল বাকরীর হাশশে কাওয়ার নামক অংশে ইসলামের তৃতীয় খলীফা হযরত ওসমান (রা) কে দাফন করা হয়। তাঁর শাহাদাতের সময় মুসলিম বিশ্বের বিস্তৃতি ছিলো কাবুল থেকে মরক্কো পর্যন্ত।

তোমরা হয়ত ভাবছো এতো বিশাল সাম্রাজ্যের মালিক অথচ গুটিকতক বিভ্রান্ত লোকের হাতে শহীদ হলেন? ইচ্ছে করলে তিনি বিদ্রোহীদেরকে নিশ্চিহ্ন করে দিতে পারতেন কিন্তু তিনি ছিলেন অত্যন্ত বিনয়ী এবং নরম মনের মানুষ। তিনি নিজের জীবন বাঁচানোর জন্য রক্তপাতকে পছন্দ করেন নি। তাছাড়া এ বিদ্রোহীদের মধ্যে মুসলমানরাও রয়েছে। তাই নিজের জীবন দিয়ে তিনি প্রমাণ করলেন, খলীফার জীবনের চেয়ে সম্প্রীতি রক্ষা করা বড়।

তোমরা শুনলে অত্যন্ত আনন্দিত হবে যে, ওসমান (রা) মহানবী (সা)-এর একান্ত প্রিয় ভাজন ছিলেন। রাসূল (সা) নিজেই বলেছেন, ‘প্রত্যেক নবীরই বন্ধু থাকে; জান্নাতে আমার বন্ধু হবে ওসমান’।


পিডিএফ লোড হতে একটু সময় লাগতে পারে। নতুন উইন্ডোতে খুলতে এখানে ক্লিক করুন।




দুঃখিত, এই বইটির কোন অডিও যুক্ত করা হয়নি