লেখকঃ মইনুল হোসেন

লেখক পরিচিতি

মইনুল হোসেন

মইনুল হােসেন দীর্ঘদিন ধরে লিখছেন। ইতােমধ্যে তার। একাধিক গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। বাংলাদেশ ও বাস্তবতা ও প্রত্যাশা’, ‘গণতন্ত্রের সাফল্য চাহিয়াছি', 'Subservience is |not freedom', ‘নতজানু থাকা স্বাধীনতা নয়’ ও ‘ঘুরে দাঁড়াতে হবে তার উল্লেখযােগ্য রচনা। সাহিত্য চর্চা কিংবা প্রথাগত সাংবাদিকতার প্রেক্ষাপট হতে। লেখক হিসেবে তার উন্মেষ ও বিকাশ ঘটেনি। পিতার সাংবাদিকতার উজ্জ্বল ঐতিহ্য তার সামনেই ছিল। হয়তাে তিনি তাকে দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে থাকবেন। তার চিন্তায় ও মননে আমরা পাই আইন পেশার যুক্তির বুনন ও সাংবাদিকসুলভ সংবেদনশীলতা। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক কিংবা অর্থনৈতিক ঘটনা ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ করতে গিয়ে তিনি যুক্তির সীমার মধ্যে থেকে প্রশ্ন তােলেন, সমস্যা উত্থাপন করেন এবং নিজেই যৌক্তিক সমাধান খোঁজেন। তার লেখায় গণতন্ত্রের সমস্যা, সুশাসনের অভাব, ক্ষমতার কড়াকড়ি ও বাড়াবাড়ি, মানবাধিকারের লঙ্ন, রাজনীতির দুবৃত্তায়ন, সরকারি কর্মকাণ্ডে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার অভাব ঘুরেফিরে এসে থাকে। রাজনীতিকে তিনি দেশপ্রেম এবং মানব সেবার ব্ৰত হিসেবে দেখে থাকেন। এর ব্যতিক্রম। দেখলে তিনি প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে থাকেন। লেখার জন্য যে অভিজ্ঞতা, অধ্যয়ন ও অন্তর্দৃষ্টি প্রয়ােজন সবই ধারণ ও লালন করেন মইনুল হােসেন। দক্ষিণ বাংলার অনাবিল গ্রামীণ পটভূমিতে শৈশব ও কৈশােরের সুপ্রিল দিনগুলাে পার করে কলকাতা, ঢাকা ও লন্ডনে শিক্ষা লাভের সৌভাগ্য হয়েছে তার । ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতক, লন্ডনের টেম্পল ইন হতে ব্যারিস্টারি ডিগ্রি লাভের পর ১৯৬৫ খ্রিস্টাব্দে তিনি ঢাকা হাইকোর্টে আইন ব্যবসা শুরু করেন। এদেশের সাংবাদিকতা জগতের প্রবাদপুরুষ তফাজ্জল হােসেন মানিক মিয়া উনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানের সময় আকস্মিকভাবে মৃত্যুবরণ করলে তরুণ আইনজীবী মইনুল হােসেনকে পিতার শ্রম ও সাধনায় গড়া ইত্তেফাকের কাণ্ডারী। হতে হয়। ইত্তেফাকের সম্পাদক হিসেবে তিনি ঊনসত্তরের গণজাগরণ, সত্তরের সাধারণ নির্বাচন ও একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধকালীন ঘটনাপ্রবাহকে নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করার। সুযােগ লাভ করেন। রাজনৈতিক ও পারিবারিক ঘনিষ্ঠ। সম্পর্কে সুবাদে লক্ষণগু কাছ থেকে তিনি বরাবর পিতৃস্নেহ লাভ করেন।

ঠিকানা