মুখ্য বিষয়সমূহ
লেখকের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি
বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ, রাজনীতিক, লেখক ও গবেষক অধ্যাপক আহমদ আবদুল কাদের ১৯৫৫ সালে হবিগঞ্জ জিলার অন্তর্গত মাধবপুর উপজিলার আলাদাউদপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে বি এস এস (সম্মান) ও এম এস এস এবং ঢাকা সিটি ‘ল’ কলেজ থেকে এল এল বি ডিগ্রী লাভ করেন। অতপর তিনি বিশিষ্ট আলেমদের তত্ত্বাবধানে ইসলামী বিভিন্ন শাস্ত্র বিষয়ক শিক্ষা লাভ করেন। পেশাগতভাবে তিনি ঢাকার একটি কলেজে অর্থনীতি বিষয়ে অধ্যাপনা করেন। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি বিবাহিত। জনাব কাদের ছাত্র জীবন থেকেই লেখালেখির সঙ্গে জড়িত। বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা ও জার্নালে
তিনি লিখে থাকেন। এ পর্যন্ত ইসলাম, ইসলামী আন্দোলন-সংগঠন, অর্থনীতি, রাজনীতি, র মুসলিম উম্মাহ, ইতিহাস-ঐতিহ্য, সভ্যতা-সংস্কৃতি ইত্যাদি বিষয়ে তাঁর ২২টি বই প্রকাশিত
হয়েছে। সেগুলাে হচ্ছে- ১.সােনালী পথ ২. দারিদ্র সমস্যা সমাধানে ইসলাম ৩, সভ্যতা সংকট দিগদর্শন ৪. মুক্তি শান্তি প্রগতি ৫. সত্য সুন্দর বিপ্লব তারুণ্য ৬. পতনের বেলাভূমিতে বস্তুবাদী সভ্যতা ৭, খেলাফতঃ মূলনীতি ও বৈশিষ্ট্য ৮, মুসলিম ঐক্য ও সংহতি ৯, সেবা দারিদ্র বিমােচন ইসলাম ১০, মৌলবাদ ১১ মহানবী (সাঃ)-এর জীবনাদর্শ ও আজকের প্রেক্ষিত ১২. জিহাদ কি ও কেন ১৩. ইসলামী আন্দোলন ১৪. ইসলামী আন্দোলন ও জালেমের বিরুদ্ধে মজলুমের লড়াই ১৫. ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলন অপরিহার্য কেন? ১৬. ইসলামী বিপ্লব ১৭. ইসলামী বিপ্লব ও পথ ও পদ্ধতি ১৮, ইসলামী বিপ্লবের লক্ষ্যে গণআন্দোলন ১৯. ইসলামী আন্দোলন ও উলামা সমাজ ২০. আদর্শ কর্মী ২১. আদর্শ সংগঠন ২২ ঈমানের পথ রক্তে রাঙা। এছাড়াও তার শতাধিক নিবন্ধ ও দশটির মতাে গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। তিনি ছাত্র জীবন থেকেই ইসলামী আন্দোলনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। ছাত্র জীবন থেকে এপর্যন্ত বিভিন্ন সাংগঠনিক ও রাজনৈতিক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করে আসছেন। তিনি ইসলামী ছাত্র শিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি (১৯৮২), ইসলামী যুব শিবিরের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি (১৯৮৩-১৯৮৯), ১৯৮৪ সালে হযরত হাফেজ্জী হুজুরের নেতৃত্বাধীন সম্মিলিত সংগ্রাম পরিষদের অন্যতম উদ্যোক্তা ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য, ১৯৮৭ সালে ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা এবং বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের প্রতিষ্ঠাতা যুগ্ম মহাসচিব ছিলেন (১৯৮৯১৯৯৬)। তিনি চার দলীয় আন্দোলনের লিয়াজো কমিটির অন্যতম সদস্য ছিলেন। সে সময় তিনি ইসলামী ঐক্যজোটের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবের দায়িত্বও পালন করেন (২০০১)। বর্তমানে তিনি ইসলামী ঐক্যজোটের ভাইস চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর। তিনি ইসলাম, মুসলিম উম্মাহ ও জাতীয় স্বার্থ সংশ্লিষ্ট এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। লেখালেখি, গবেষণা, আন্দোলন ও রাজনৈতিক কর্মকান্ডের পাশাপাশি তিনি সমাজকল্যাণমূলক কাজের সঙ্গেও সক্রিয়ভাবে জড়িত। তিনি নুসরা নামক একটি জাতীয় ভিত্তিক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা। তিনি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সম্মেলন ও সেমিনারে যােগদান উপলক্ষে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, যুক্তরাজ্য, সৌদি আরব, ইরান, পাকিস্তান, ভারত, আরব আমিরাত ও নেপাল সফর করেন।
প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানের পরিচিতি
সংশ্লিষ্ট বই
পতনের বেলাভূমিতে বস্তুবাদী সভ্যতা
লেখকঃ ড. এম আবদুল কাদের
প্রকাশনীঃ পাঠাগার ডট কম কালেকশন
নতুন একটি সভ্যতা বিনির্মাণ করতে হলে বিরাজমান সভ্যতার পতন অপরিহার্য। যা অপরিহার্য তা বাস্তবে সম্ভব বা অনিবার্য কিনা বিশ্লেষণ করে দেখা প্রয়োজন। আর এ প্রয়োজনের প্রেক্ষিতেই আজকের এ আলােচনা। বর্তমান ক্ষুদ্র বইটির সংক্ষিপ্ত পরিসরে বিরাজমান বস্তুবাদী সভ্যতার গতি-প্রকৃতি বিশ্লেষণ করে তার পতনের অনিবার্যতা প্রমাণের চেষ্টা করা হয়েছে। বিভিন্ন সমাজ বিষয়ক ও দার্শনিক তত্ত্ব প্রয়ােগ করে এবং পরিশেষে আল-কোরআনের আলোকে বর্তমান বস্তুবাদী সভ্যতাটির পতন যে অবশ্যম্ভাবী তা তুলে ধরা হয়েছে। বর্তমান সভ্যতার পতন ঘটিয়ে যারা আরেকটি উন্নততর কল্যাণধর্মী মানবতাবাদী সভ্যতা নির্মাণ করতে চান তাদের জন্যে একটি তাত্ত্বিক হাতিয়ার যোগান দেয়াও এ বিশ্লেষণের অন্যতম উদ্দেশ্য।
বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র থাকাকালীন সময়ে ১৯৮০ সালে এ বিষয়ে একটি প্রবন্ধ লিখি। প্রবন্ধটি একটি সম্মেলন স্মারক ও একটি গবেষণা পত্রিকা মাসিক পৃথিবীতে ছাপা হয়। বর্তমান বইটি এ প্রবন্ধেরই পরিবর্ধিত ও মার্জিত রূপ। মুলতঃ উক্ত বইয়ের প্রকাশক জনাব মােস্তফা আনোয়ার সাহেবের উৎসাহ ও তাগিদেই প্রবন্ধটি বইয়ের অাকারে রূপ নিয়েছে। এজন্য তাকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
পরিসরের সংক্ষিততার কারণে বিভিন্ন তত্ত্বের পর্যন্ত বিশ্লেষণ দেয়া সম্ভব হয়নি বলে কিছু কিছু বিষয় হয়তো অস্পষ্ট থেকে যেতে পারে।
পূর্বাহেই একটি বিষয় বলে রাখা প্রয়োজন যে, যেসব দার্শনিক তত্ত্বের আলােকে প্রতিপাদ্য বিষয়ের বিশ্লেষণ করা হয়েছে সেসব তত্ত্বগুলোর সব কয়টি যে ইতিহাসের সঠিক ব্যাখ্যা এমন নয়। কিন্তু ভুল হােক আর শুদ্ধ হােক সব কয়টি প্রধান তত্ত্বই যে আধুনিক বস্তুবাদী সভ্যতার গতি-প্রকৃতি সম্পর্কে একই সাধারণ সিদ্ধান্তে উপনীত হতে সহায়তা করছে তা-ই শুধু দেখানো হয়েছে। প্রসংগত উল্লেখ করা প্রয়ােজন যে, কোন কোন ইতিহাসতত্ত্বের বিস্তারিত দিক পরিহার করে শুধু মূল প্রক্রিয়াগত দিকটাই ইতিহাসের গতি বিশ্লেষণের জন্যে প্রয়োগ করা হয়েছে।
আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় পূর্বাহেই পরিষ্কার হওয়া প্রয়োজন যে, অামরা বর্তমান আলোচনায় সভ্যতা ও সংস্কৃতি শব্দদুটোকে সমার্থক ও সমবিত অর্থে ব্যবহার করেছি। সভ্যতা ও সংস্কৃতির মধ্যে যে পারিভাষিক ও প্রায়োগিক পার্থক্য রয়েছে এ সম্পর্কে সচেতনতা সত্ত্বেও আলোচনার সুবিধার্থে “সভ্যতাকে ব্যাপক অর্থে বিবেচনা করে সংস্কৃতিকে এর অঙ্গীভূত করা হয়েছে। অথবা বলা যায় বর্তমান পুস্তকে ব্যবহৃত 'সভ্যতা” পরিভাষাটি সংস্কৃত সমেত সভ্যতা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। অবশ্য বেশীর ভাগ ক্ষেত্রেই আমরা সভ্যতা-সংস্কৃতি এ মিশ্র পরিভাষাটি ব্যবহার করেছি যাতে করে সভ্যতা ও সংস্কৃতি পরিভাষা দুটোর অর্থ ও তাৎপর্য একই সঙ্গে বুঝানাে সম্ভব হয়।
বর্তমান আলোচনাটি ক্ষুদ্র হলেও একটি মৌলিক প্রয়াস। এ প্রয়াস কতটুকু সফল হয়েছে তা চিন্তাশীল পাঠক ও বুদ্ধিজীবীগণ বিচার করে দেখবেন।
সযত্ন প্রয়াস সত্ত্বেও কিছু কিছু ত্রুটি থাকাটা অসম্ভব নয়। বইটি প্রকাশের ক্ষেত্রে যারা সহযােগিতা করেছেন তাদের সবাইকে জানাচ্ছি আন্তরিক মোবারকবাদ।
আল্লাহ আমাদের যাবতীয় প্রয়াসকে কবুল করুন। আমীন।
২রা জানুয়ারী ১৯৮৫
আহমদ আবদুল কাদের
অর্থনীতি বিভাগ
আদর্শ কলেজ, ঢাকা
- প্রিয়তে যোগ করতে লগিন করুন
- লাইব্রারীতে যোগ করতে লগিন করুন
পিডিএফ লোড হতে একটু সময় লাগতে পারে। নতুন উইন্ডোতে খুলতে এখানে ক্লিক করুন।
দুঃখিত, এই বইটির কোন অডিও যুক্ত করা হয়নি