ইসলামী সংগঠনের নেতৃত্ব কাঠামো
ইসলামী সংগঠনে একটি বিশেষ নেতৃত্ব কাঠামো আছে। আল্লাহর রাসূলের (সা) বাণী এবং আসহাবে রাসূলের অনুশীলন আমাদের কে ইসলামী সংগঠনের নেতৃত্ব কাঠামো সর্ম্পকে সুস্পষ্ট ধারণা দান করে।
আল্লাহর রাসূলের (সা) জীবনের শেষ ভাগে কোন কোন সাহাবী মুসলিম উম্মাহর পরবর্তী নেতৃত্ব সর্ম্পকে তাঁকে প্রশ্ন করেন। তাঁর পর কে নেতা হবেন এটাই ছিল তাদের জিজ্ঞাসা। তাঁদের নিকট সুস্পষ্ট ছিলো যে আল্লাহর রাসূলের (সা) পর একজন ব্যক্তিই হবেন তাদের নেতা। তবে কোন ব্যক্তি নেতা হলে ভালো হবে এটাই তাঁরা রাসূলের (সা) কাছ থেকে জানতে চেয়ে ছিলেন। জবাবে আল্লাহর রাসূল (সা) বলেন,
******* (আরবী টেক্সট) *******
“তোমরা যদি আবুবকরকে আমীর বানাও তাকে পাবে আমানতদার, দুনিয়ার প্রতি নির্মোহ এবং আখেরাতের প্রতি আকৃষ্ট। আর তোমরা যদি উমারকে আমীর বানাও তাকে পাবে শক্তিধর, আমানতদার এবং আল্লাহর ব্যাপারে সে কোন দুর্নাম রটনাকারীর পরোয়া করবে না। আর যদি আলী কে আমীর বানাও- আমার মনে হয়না তোমরা তা করবে- তা হলে তাকে পাবে পথ প্রদর্শনকারী ও পথ প্রদর্শিত ব্যক্তি। সে তোমাদেরকে সঠিক পথে চালাবে।”
-মুসনাদে আহমাদ
আল্লাহর রাসূলের এই জবাব থেকে আমরা দুটো মূলনীতি পাই। এথম মূলনীতি হচ্ছে মুসলিমদের আমীর একজনই হবেন। কমান্ডিং পজিশন একজনকেই দেয় হবে, একাধিক ব্যক্তিকে নয়। দ্বিতীয় মূলনীতি হচ্ছে, মুসলিমগণ তাঁদের মধ্য থেকে একজন আমীর নির্বাচিত করে নেবেন তাঁদের স¦াধীন মতামতের ভিত্তিতে।
সাহাবাগণের প্রশ্নের জবাবে আল্লাহর রাসূল (সা) তিনজন ব্যক্তির নাম উল্লেখ করেছেন। তিনি যদি মাত্র একজন ব্যক্তির নাম উল্লেখ করতেন তাহলে সাহাবাগণ সেই ব্যক্তিকে আমীর হিসেবে গ্রহণ করে বাইয়াত করার বাধ্যতামূলক মনে করতেন। আল্লাহর রাসূল (সা) মুসলিম উম্মাহকে আমীর নির্বাচনের ক্ষেতে স্বাধীন রেখেছেন। প্রকৃত পক্ষে আল্লাহর ইচ্ছাও ছিল তাই। তা না হলে আল্লাহ ওহী পাঠিয়ে তাঁর পছন্দীয় বিকল্প ব্যবস্থা রাসূলের (সা) মাধ্যমে উম্মাহকে জানিয়ে দিতেন।


পিডিএফ লোড হতে একটু সময় লাগতে পারে। নতুন উইন্ডোতে খুলতে এখানে ক্লিক করুন।




দুঃখিত, এই বইটির কোন অডিও যুক্ত করা হয়নি