একদিন আবদুল্লাহ ইবনুল আব্বাসের (রাঃ) নিকট এক ব্যক্তি এসে বললো, “আমি ন্যায়ের আদেশ ও অন্যায়ের নিষেধ- এর কাজ করতে চাই”।
আব্দুল্লাহ ইবনুল আব্বাস (রাঃ) বললেন, “তুমি কি এই কাজের উপযুক্ততা অর্জন করেছো?” সে বললো, “আমি তো তাই আশা করি”।
আব্দুল্লাহ ইবনুল আব্বাস (রাঃ) বললেন, “আল্লাহ্‌র কিতাবের তিনটি আয়াতের অসম্মান করার আশংকা না থাকলে তুমি একাজে নামতে পার।” সে বললো, “ওগুলো কোন কোন আয়াত?” আব্দুল্লাহ ইবনুল আব্বাস (রাঃ) বললেন,
(আরবী *****)
(তোমরা লোকদের ভাল কাজের কথা বল অথচ নিজেরা তা ভুলে যাও?) এর উপর কি ভালভাবে আমল করেছ? সে বললো, “না”। আব্দুল্লাহ ইবনুল আব্বাস (রাঃ) বললেন,
(আরবী *****)
(তোমরা এমন কথা কেন বল যা নিজেরা করনা?) এর উপর কি ভালভাবে আমল করেছো? সে বললো, “না”। আব্দুল্লাহ ইবনুল আব্বাস (রাঃ) বললেন,
(আরবী *****)
(আমার ইচ্ছা এটা নয় যে আমি তোমাদেরকে যা নিষেধ করি তা নিজে করবো।) তুমি কি এর উপর ভালভাবে আমল করেছো? সে বললো, “না”। আব্দুল্লাহ ইবনুল আব্বাস (রাঃ) বলেন, “তাহলে তোমার নিজের উপরেই প্রথমে দাওয়াতের কাজ শুরু কর।”
বস্ততঃ মুখে ভাল কথা আর চরিত্রে খারাপ বৈষিষ্ট্য নিয়ে দাওয়াতী কাজ করা পণ্ডশ্রম মাত্র। দাওয়াতী কাজে কৃতকার্য হতে হলে ইসলামের রঙে নিজের চরিত্র ও আচরণ রাঙ্গিয়ে নিতে হবে। ব্যক্তির মুখ ও চরিত্র যখন একই কথা বলে তখন তাঁর প্রভাব হয় অনেক বেশী।


পিডিএফ লোড হতে একটু সময় লাগতে পারে। নতুন উইন্ডোতে খুলতে এখানে ক্লিক করুন।




দুঃখিত, এই বইটির কোন অডিও যুক্ত করা হয়নি