আজকের মত অতীতেও মানব সমাজে কমবেশী নিরক্ষর লোক ছিলো। অতীতের ইসলামী আন্দোলনগুলো স্বাক্ষর ও নিরক্ষর-এই উভয় ধরনের লোকের নিকটই দাওয়াত পেশ করেছে।
এ যুগে অনেকেই নিরক্ষরদের নিকট দাওয়াত পেশ করার বিষয়টিকে একটি নতুন সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করতে চান। ব্যাপারটি মোটেই এমন নয়। এই সমস্যা অতীতেও ছিল। আল কুরআনে সমস্যার সমাধানও রয়েছে।
শেষ নবী মুহাম্মাদ (সাঃ) যেই সমাজে ইসলামী আন্দোলন সূচনা ও পরিচালনা করেছিলেন, সেই সমাজের বেশীরভাগ লোকই ছিলোর নিরক্ষর। কাজেই তাঁর পরিচালিত ইসলামী আন্দোলন ও সংঘঠিত বিপ্লবের মাঝেই নিরক্ষরদের মধ্যে কাজ করার পদ্ধতি লুকিয়ে রয়েছে।
(আরবী *****)
“তিনি সেই সত্তা নিরক্ষরদের মধ্যে তাদের মধ্য থেকে একজন রসূল আবির্ভূত করেছেন তাঁদেরকে তাঁর আয়াতসমূহ পড়ে শুনাতে, তাদেরকে পবিত্র করতে এবং তাদেরকে কিতাব ও কর্মকৌশল শিক্ষা দিতে।” – সূরা আল জুমুয়াঃ ২
এই আয়াতে পরিষ্কারভাবে জানানো হয়েছে যে আল্লাহ্‌র রাসূল (সাঃ) যাদের মধ্যে কাজ করেছেন তাদের বেশীর ভাগই উম্মী বা নিরক্ষর ছিলো। এই নিরক্ষর জনগোষ্ঠীই ছিল আল্লাহ্‌র রাসূলের কর্মক্ষেত্র।
আল্লাহ্‌র রাসূল (সাঃ) নিরক্ষরদের মাঝে যেই সব কাজ করতেন তা হচ্ছেঃ এক, আল্লহার আয়াতসমূহ পড়ে শোনানো। দুই, ঈমান আনয়নকারীদের তাজকিয়া- অর্থাৎ তাদের ধ্যান-ধারণা, কথা বার্তা, পোশাক-পরিচ্ছেদ, খানাপিনা, কাজকর্ম এবং পারস্পরিক লেনদেন থেকে যাবতীয় মলিনতা ও অপবিত্রতা দূর করে তাদেরকে উন্নতমানের ব্যক্তিরূপে গঠন। তিন, আল্লহার কিতাবের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য এবং সেই উদ্দেশ্য হাসিলের কর্মকৌশল শেখানো।
এই আয়াতের আলোকে যেই বিষয়টি বিশেষভাবে বিবেচ্য- তা হচ্ছে এই যে আল্লাহ্‌র রাসূল (সাঃ) নিরক্ষরদেরকে আল্লাহ্‌র বাণী পড়ে শোনাতেন। অর্থাৎ তিনি মৌখিকভাবে আল-কুরআন পেশ করতেন। আর আল-কোরআনের শিক্ষার আলোকে চরিত্র গঠনের জন্য লোকদেরকে উদ্বুদ্ধ করতেন। আজকের যুগেও আল্লাহ্‌র দিকে আহ্বানকারীদেরকে সরাসরি নিরক্ষরদের নিকট পৌঁছতে হবে এবং ইসলামের শিক্ষাসমূহ অত্যন্ত সুস্পষ্ট ও বোধগম্য ভাষায় মৌখিকভাবে তাদের নিকট উপস্থাপন করতে হবে।


পিডিএফ লোড হতে একটু সময় লাগতে পারে। নতুন উইন্ডোতে খুলতে এখানে ক্লিক করুন।




দুঃখিত, এই বইটির কোন অডিও যুক্ত করা হয়নি