সমাজ ককনো নেতৃত্ব শূন্য থাকে না। সমাজের উপর থেকে নীচ পর্যন্ত সকল স্তরেই উল্লেখযোগ্য সংখ্যক লোক প্রভাব বিস্তার করে থাকে।
জনসাধারণ সাধারণতঃ এই প্রভাবশালী গোষ্ঠীর অনুসরণ করে থাকে। এদের ধ্যান-ধারণা এবং জীবনযাত্রা জনসাধারণের নিকট আকর্ষনীয় বিষয় বলে গণ্য হয়।
এই প্রভাবশালী গোষ্ঠী সমাজকে বুদ্ধিবৃত্তিক নেতৃত্ব দিয়ে থাকে। তদুপরি বস্তুগত উপায়-উপাদানের সিংহ ভাগই এরা নানা কায়দায় নিজের দখলে রাখে।
নেতৃত্বের আসনে আসীন হবার মৌলিক মানবীয় গুণাবলীও এদের মধ্যে পাওয়া যায়।
প্রভাবশালী গোষ্ঠী যেই রং ধারণ করে সমাজ ধীরে ধীরে সেই রং ধারণ করে থাকে।
এসব কারণে আল্লাহ্‌র পথে আহ্বানকারীকে অন্যান্যদেরকে দাওয়াত দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রভাবশালী গোষ্ঠীর দিকে বিশেষ নজর দিতে হবে। নূহ আলাইহিস সালাম, হূদ আলাইহিস সালাম, সালিহ আলাইহিস সালাম ও শুয়াইব আলাইহিস সালামকে আমরা প্রভাবশালী ব্যক্তিদেরকে বিশেষভাবে আহ্বান জানাতে দেখি। ইব্রাহীম আলাইহিস সালাম প্রথমেই তাঁর আব্বা এবং পরিবার-সদস্যদের নিকট দাওয়াত পেশ করেন। এই পরিবার উর নগর রাষ্ট্রে মর্যাদার আসনে আসীন ছিল। অতঃপর ইব্রাহীম আলাইহিস সালাম নমরূদকে আল্লাহর সার্বভৌমত্ব মেনে নেয়ার আহ্বান জানান। মূসা আলাইহিস সালাম ফেরাউনের নিকট ঐ একই আহ্বান পেশ করেন। দানিয়েল আলাইহিস সালামকে আমরা দেখি নেবু কাদনেজারের নিকট দাওয়াত পেশ করতে। ঈসা আলিহিস সালাম প্রথমে প্রভাবশালী ইয়াহুদী পণ্ডিতদেরকে আল্লাহ্‌র পথে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ (সাঃ) মক্কার প্রধান ব্যক্তিদের দিকে দিকে বিশেষ নজর দিয়ে দাওয়াতী তৎপরতা চালাতে থাকেন।
প্রভাবশালী গোষ্ঠীর দিকে নজর দেবার কারণ হচ্ছেঃ
এক। এরা ইসলামী জীবন বিধান গ্রহণ করলে জনসাধারণের পক্ষে ইসলাম গ্রহণ করা সহজ হয়ে যায়।
দুই। এরা ইসলামী জীবন বিধান গ্রহণ করলে এদের আয়ত্বাধীন বস্তুগত উপাদানগুলো ইসলাম প্রতিষ্ঠার কাজে ব্যয়িত হয়।
তিন। এরা ইসলামী জীবন বিধান গ্রহণ করলে এদের প্রতিভা ও বুদ্ধিবৃত্তি ইসলাম প্রতিষ্ঠার কাজে নিয়োজিত হয়।
চার। এরা ইসলামী জীবন বিধান গ্রহণ করে সঠইকভাবে আত্মগঠন করলে আন্দোলনের আগামী দিনের নেতৃত্ব এদের মধ্যে থেকে গড়ে উঠে।


পিডিএফ লোড হতে একটু সময় লাগতে পারে। নতুন উইন্ডোতে খুলতে এখানে ক্লিক করুন।




দুঃখিত, এই বইটির কোন অডিও যুক্ত করা হয়নি