মুহাম্মদ (মহানবীর সাঃ এর জীবনী)
লেখকঃ ক্যারেন আর্মস্ট্রং
প্রকাশনীঃ পাঠাগার ডট কম কালেকশন
আমরা যখন বিংশ শতাব্দীর শেষপ্রান্তের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। ঠিক সেই সময় ধর্মবিশ্বাস আবার এক শক্তিশালী বিষয় বলে পরিগণিত হচ্ছে। আমরা আবার ধর্মের ব্যাপক পুনরুত্থান দেখতে পাচ্ছি যা কিনা। উনিশশো পঞ্চাশ এবং ষাটের দশকে ছিল অচিন্ত্যনীয়, ধর্মনিরপেক্ষবাদীরা তখন ধরে নিয়েছিল যে সভ্য, যুক্তিবাদী মানুষ ধর্মের মত আদি কুসংস্কারকে অতিক্রম করে আসতে পেরেছে। অনেকে বেশ জোরের সঙ্গে ধর্মের বিলুপ্তির ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন : ধর্ম বড় জোর প্রান্তিক এবং ব্যক্তি পর্যায়ের কর্মকাণ্ডে সীমিত হয়ে পড়বে, বিশ্ব প্রেক্ষাপটে এর আর কোনও গুরুত্ব বা প্রভাব থাকবে না। কিন্তু বর্তমানে আমরা উপলব্ধি করছি, ওই অনুমান ছিল ভ্ৰান্ত । হওয়ার পর সেখানকার নারী-পুরুষ এখন ধর্ম অনুসরণের অধিকার দাবী করছে। পশ্চিমা বিশ্বে, যেখানকার জনগণ এতদিন যাবত প্রচলিত বিশ্বাস এবং আনুষ্ঠানিক ধর্মানুসরণে খুব একটা আগ্রহী ছিল না, তারাও ইদানীং আধ্যাত্মিকতা ও অন্তর্গত জীবন সম্পর্কে নতুন করে সচেতন হয়ে উঠছে। অত্যন্ত নাটকীয়ভাবে, সম্ভবত: একধরনের উগ্ৰ ধাৰ্মিকতা, আমরা যাকে সাধারণত 'মৌলবাদ’ বলে অভিহিত করে থাকি, সেটাই অধিকাংশ ধর্মের ক্ষেত্রে ঘটতে শুরু করেছে। এটা ধর্ম বিশ্বাসের ব্যাপক রাজনৈতিক রূপ এবং কেউ কেউ একে বিশ্বশান্তির প্রতি, মানবিক শান্তির প্রতি হুমকি বলে মনে করছেন।