মুসলিম উম্মাহর সবচেয়ে বড় সম্মেলন হজ্জ¦। হজ্জ্ব ইসলামের ৪র্থ স্তম্ভ। মাত্র কিছুদিন আগে মুসলিম উম্মাহর মহাসম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়ে গেছে। পৃথিবীর প্রান্ত-প্রান্ত থেকে আগত অসংখ্য মানুষ এই মহাসম্মেলনে একত্রিত হন। যাদের আকার -আকৃতি, দৈহিক রং ও ভাষা, পোশাক-পরিচ্ছদ বিভিন্ন হওয়া সত্ত্বেও সবাই নির্দিষ্ট স্থানে এসে নিজ নিজ পোশাক-পরিচ্ছদ খুলে ফেলে এবং সকলে একই ধরনের অনাড়ম্বর ‘ইউনিফরম’ পরিধান করে। এরা বিশ্বের বাদশাহ ও যমীন-আসমানের রাজাধিরাজ এক আল্লাহ তাআলারই ফৌজ। এদের সকলের ওপর একই সম্রাটের আনুগত্য ও গোলামীর চিহ্ন লেগে আছে, একই বাদশাহর আনুগত্যের সূত্রে এরা সকলেই পরস্পর বিজড়িত রয়েছে এবং একই রাজধানীর দিকে, মহাস¤্রাটের সামনে উপস্থিত হবার জন্য ছুটে চলেছে। সকলের কণ্ঠ থেকে এ একই ধ্বনি প্রতিধ্বনিত হয়ে আকাশ-বাতাস মুখরিত করে তোলে। উচ্চারণের কন্ঠ বিভিন্ন কিন্তু সকলের কণ্ঠে একই ধ্বনি।

এভাবে সমবেত লক্ষ-লক্ষ জনতার ভাষা, জাতি, দেশ, বংশ ও গোত্রের কৃত্রিম বৈষম্য চূর্ণ হয়ে একাকার হয়ে যায়। দুনিয়ার বিভিন্ন জাতির মধ্য থেকে আগত অসংখ্য মানুষের একই কেন্দ্রে সম্মিলিত হওয়া এমন নিষ্ঠা, একাগ্রতা এবং ঐক্যভাবের সাথে একত্রিত হওয়া এমন পবিত্র উদ্দেশ্য ও ভাবধারা এবং নির্মল কাজ-কর্ম সহকারে সমস্ত কাজ সম্পন্ন করা প্রকৃতপক্ষে আদম সন্তানের জন্য এটা এক বড় নিয়ামত। এ নিয়ামত ইসলাম ভিন্ন অন্য কোন ধর্মই দিতে পারেনি। হজ্জ্বে যারা উপস্থিতির সামর্থ রাখেন তারা সত্যিই সৌভাগ্যবান। আল্লাহর ঘর বায়তুল্লাহর জিয়ারত ও মসজিদে নববীতে রাসূলের রওজা জিয়ারতের পর কোন বান্দাহ যদি আল্লাহর নির্দেশিত পথ ও রাসূলের নির্দেশিত পন্থায় নিজের জীবন পরিচালিত করতে পারেন তাহলে তিনি সফল, তার হজ্জ্বও সার্থক। সেই স্যেভাগ্যবানদের একজন সিমন কলিস।
এবার পবিত্র হজ্জ্ব উপলক্ষে, “টক অব ওয়ার্ল্ড” স্যোসাল মিডিয়ার আলোচিত খবর ছিল সৌদি আরবে নিযুক্ত বৃটিশ রাষ্ট্রদূত সিমন কলিস এর ইসলাম গ্রহণ ও তার স্ত্রী সহ হজ্জ্ব পালনের বিষয়টি। কারণ খবরটি সাধারণ কোন ঘটনা নয়। আর সিমন কলিসও কোন সাধারণ ব্যক্তি নন। সিমন কলিস আজকের আধুনিক দুনিয়ার একটি উন্নত রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে অধিষ্ঠিত ব্যক্তি। তিনি ২০১৫ সাল থেকে সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে রয়েছেন রাষ্ট্রদূত হিসেবে। এর আগে তিনি বৃটিশ কূটনীতিক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন সিরিয়া, ইরাক, ভারত, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত, তিউনেশিয়া ও ইয়েমেনে। সুতরাং সিমন কলিস এমন একজন সচেতন ব্যক্তি যাকে কোন লোভ-লালসা প্ররোচনা কিছুই আক্রান্ত করেনি। বরং তিনি এক টুইট বার্তায় নিজেই আরবিতে লিখেন, প্রায় ত্রিশ বছর ধরে মুসলিম সংস্কৃতির সঙ্গে বসবাস তার। ২০১১ সালে বিয়ের কয়েকদিন আগে তিনি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন।
খবরে বলা হয়-“সৌদি আরবে নিযুক্ত বৃটিশ রাষ্ট্রদূত সিমন কলিস ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত হয়ে হজ্জ্ব পালন করেছেন। বৃটেনের দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্টের খবরে বলা হয়, তিনিই হয়তো হজ পালন করা প্রথম বৃটিশ রাষ্ট্রদূত। টুইটারে পোস্ট করা বিভিন্ন ছবিতে দেখা গেছে, মক্কায় হজ্জ্ব যাত্রীদের সাদা কাপড় পরা অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছেন তিনি। পাশে ছিলেন তার স্ত্রী হুদা মুজারকেছ। টুইটারে এমন ছবি ছড়িয়ে পড়লে তিনি নিজ থেকেই জানান, ২০১১ সালে হুদা মুজারকেছকে বিয়ের কয়েকদিন আগে তিনি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন।
প্রথম এ ছবিগুলো টুইটারে প্রকাশ করেছিলেন সৌদি আরবের লেখক ফাওজিয়া আলবাকর। ছবির পাশাপাশি তিনি আরবিতে লিখেছিলেন: ‘ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত হওয়ার পর হজ্জ্ব পালন করছেন সৌদি আরবে নিযুক্ত প্রথম কোন বৃটিশ রাষ্ট্রদূত। মক্কায় সিমন কলিস, সঙ্গে তার স্ত্রী হুদা। পরে এরপর শুভাকাঙ্খীরা তাকে ও তার স্ত্রীকে অভিনন্দন জানাতে থাকেন। এমন একটি অভিনন্দের প্রতুত্তরে তিনি লিখেন, ‘ধন্যবাদ আপনাকে এবং ঈদ মোবারক।’
২০১৫ সাল থেকে সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে রয়েছেন রাষ্ট্রদূত কলিস। এর আগে তিনি বৃটিশ কূটনীতিক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন সিরিয়া, ইরাক, ভারত, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত, তিউনেশিয়া ও ইয়েমেনে। (মানবজমিন ১৬ সেপ্টেম্বর-২০১৬)
এখন প্রশ্ন হচ্ছে সিমন কলিস কেন আজকের আধুনিক দুনিয়ার উপভোগ্য সব বাদ দিয়ে এ কঠিন সময়ে ইসলামের ছায়াতলে শামিল হলেন? যে সময়ে মুসলমানরা পৃথিবীর প্রান্তে-প্রান্তে নির্যাতন, অপমান অপদস্ত, লাঞ্ছিত! অনেকে যেখানে নিজের মুসলিম পরিচয় গোপন করে চলছে। কারণ আজকের সমাজে মুসলিম হওয়া মানে স্বেচ্ছায় বিপদ-মুসিবত কে আলিঙ্গন করা। তাহলে সিমন কলিস এর মত একজন সচেতন ব্যাক্তি ইসলামের মধ্যে এমন কি আলোর দিশা খুঁজে পেয়েছেন? যার ফলে এমন এক কঠিন সিদ্ধান্ত!। স্রোতের বিপরীতে সংগ্রাম করে এগিয়ে যাওয়ার এ মহা উদ্যোগ।
সিমন কলিস যে পাশ্চত্য সমাজে বেড়ে উঠেছেন সে বস্তুবাদী সমাজ মানুষকে এই পৃথিবীর একমুষ্ঠি মৃত্তিকা ছাড়া আর কিছু নয় বলেই মনে করে। কিন্তু ইসলামের দৃষ্টিতে মানুষ এক মহামর্যাদাস¤পন্ন সৃষ্টি। মহান আল্লাহ তা‘আলার অগণিত সৃষ্টির মধ্যে মানুষের মর্যাদা সর্বাধিক। আল্লাহ বলেন, অ-লাক¦াদ র্কারামনা বানি আদম- আমি মানুষকে সম্মানিত করে সৃষ্টি করেছি। মানুষকে আশরাফুল মাখলুকাত বা সৃষ্টির সেরা জীব হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘নিশ্চয় আমি আদম সস্তানকে মর্যাদা দান করেছি, আমি তাদেরকে স্থলে ও জলে চলাচলের বাহন দান করেছি; তাদেরকে উত্তম জীবনোপকরণ প্রদান করেছি এবং তাদেরকে অনেক সৃষ্ট বস্তুর উপর শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছি। মানুষের মর্যাদা সকল ফিরিস্তার উপরে। আর এ কারণেই আল্লাহ তা‘আলা সকল ফিরিস্তাদেরকে আদম (আ.) এর সামনে সিজদাবনত হতে নির্দেশ দিয়েছিলেন এবং এ সম্মান প্রদর্শন না করার অপরাধে আল্লাহ ইবলিশকে অভিশপ্ত ও বিতাড়িত করেছিলেন।
আল্লাহ তায়ালা মানুষকে দিয়েছেন স্বাধীন ইচ্ছাশক্তি, দিয়েছেন জ্ঞান-বিদ্যা, বিবেক-বুদ্ধি ও চিন্তা-গবেষণা শক্তি। এভাবে তিনি মানুষকে করেছেন তাঁর সবচেয়ে কাছের ও সবচেয়ে প্রিয়। এ জন্য যে আল্লাহকে চেনার চেষ্টা করবেন তিনি তাঁকে খুঁজে পাবেন। রাসূল (সা.) থেকে অনেক হাদীস বর্ণিত হয়েছে। যেমন ইমাম বায়হাকী হযরত আবূ হুরায়রা (রা.) সূত্রে বর্ণনা করেন, ‘মু’মিন বান্দাহ আল্লাহ তা‘আলার নিকট সাধারণ ফিরিশতাদের চেয়ে অধিক মর্যাদার অধিকারী’।
ইসলামী সংস্কৃতিতে মানুষ হিসেবে মানুষে-মানুষে কোন প্রভেদ নেই। মানুষে-মানুষে কোন পার্থক্য নেই, কোন বৈষম্য নেই। বংশ, বর্ণ ও শ্রেণীগত কোন ভেদাভেদ নেই। কেউ উঁচু নয়, কেউ নিচু নয়। কেউ বড় নয়, কেউ ছোট নয়। কেউ দাস নয়, কেউ প্রভু নয়। কেউ অপবিত্র নয়, কেউ অস্পৃশ্য নয়। মানুষ হিসেবে সব মানুষ সমান। মানুষ হিসেবে সব মানুষের সৃষ্টি সূত্র এক ও অভিন্ন। কুরআনে মানুষকে ‘আদম সন্তান’ বলে সম্বোধন করা হয়েছে। এ কথাও বলে দেয়া হয়েছে যে, সকল মানুষ এসেছে একজন নর ও একজন নারী থেকে। যেমন আল্লাহ বলেন,‘আমি তোমাদের একজন পুরুষ (আদম) আর একজন নারী (হাওয়া) থেকে সৃষ্টি করেছি এবং তোমাদের বিভিন্ন গোত্র ও বংশে বিভক্ত করেছি, যেন তোমরা পরস্পরকে চিনতে ও জানতে পারো।’
রাসূল (সা.) একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণী উচ্চারণ করেছেন। তিনি (সা.) বলেন,‘আল্লাহ তা‘আলা মানুষকে এক মুঠো মাটি থেকে সৃষ্টি করেছেন। আর সে মাটি তিনি সমগ্র ভূখন্ড থেকে সংগ্রহ করেছেন। সুতরাং আদম সন্তানদের মধ্যে কেউ কালো, কেউ সাদা এবং কেউ লাল রং-এর হয়েছে এই মাটির গুণের কারণেই। আবার এ মাটির প্রভাবেই তাদের মধ্যে কেউ হয়েছে সহজ-সরল, কেউ হয়েছে কঠিন মেজাজের, কেউ হয়েছে কুৎসিত এবং কেউ হয়েছে স্ন্দুর আকৃতির।’ অর্থাৎ মানুষের মধ্যে যে বাহ্যিক পার্থক্য লক্ষ্য করা যায় তা আল্লাহর বিশেষ সৃষ্টি কৌশলের বহিঃপ্রকাশ। এর ফলে কারো মর্যাদা কারো থেকে ছোট কিংবা বড় করা হয়নি। বরং সকল মানুষকে এক আদম (আ.) থেকে সৃষ্টি করে তাদের মধ্যে সমতা আনা হয়েছে।
ইসলামের আরেক অনুপম বৈশিষ্ট্য হলো মানবতাবোধ। মানবতাবোধ মানুষের শ্রেষ্ঠ গুণ; বরং এটিই মানুষের শ্রেষ্ঠতম মানবিক গুণ। মানবতাবোধ হলো, মানুষের জন্য অনুভূতি, মানবিক চেতনা, মানুষের কল্যাণ কামনা, মানুষের দুঃখ-কষ্টে ব্যথিত হওয়া এবং মানুষের সুখ-শান্তিতে আনন্দিত হওয়া। এ বোধ থেকেই মানুষ মানুষের সেবায় আত্মনিয়োগ করে, মানুষ মানুষের উপকারে তৎপর হয়, মানব কল্যাণে ব্রতী হয়। মানুষের উন্নতি ও সর্বাঙ্গীণ সুখ-শান্তি বৃদ্ধির কাজে আত্মনিয়োগ করে। এ বোধ থেকেই মানুষ মানুষের প্রতি সুবিচার করে, মানুষ মানুষের অধিকার দিয়ে দেয়, অধিকার সংরক্ষণ করে। মানুষের অধিকার লুণ্ঠিত হলে, মানুষের উপর অত্যাচার নির্যাতন হলে অপর মানুষদের মধ্যে প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। তারা প্রতিবাদ মুখর হয়ে উঠে এবং প্রতিরোধে এগিয়ে আসে। এটিই হলো ইসলামী সংস্কৃতির শাশ্বত রূপ।
এ বোধের অভাবেই মানুষ মানুষের অধিকার হরণ করে, মানুষ মানুষের উপর অত্যাচার নির্যাতন চালায়, মানুষ মানুষকে কষ্ট দেয়, মানুষের দুঃখ-কষ্টে মানুষ ব্যথিত হয় না, মানুষ মানব কল্যাণে এগিয়ে আসে না, মানব সেবায় ব্রতী হয় না। এটি নিষ্ঠুরতা, পাষন্ডতা, অমানবিকতা এবং পাশবিকতা।
ইসলাম মানবতার ধর্ম ও পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যবস্থা। এর গোটা ব্যবস্থাই মানুষের কল্যাণের জন্য। নবীদের মাধ্যমে পৃথিবীতে দ্বীন ইসলাম বা ইসলামী জীবন ব্যবস্থা পাঠাবার উদ্দেশ্য সম্পর্কে আল্লাহ তা’আলা বলেন, “তোমরা সর্বোত্তম দল, তোমাদের আবির্ভাব ঘটানো হয়েছে মানবতার কল্যাণার্থে। তোমরা কল্যাণকর কাজের আদেশ করবে আর অকল্যাণকর কাজ থেকে বিরত রাখবে।” মানুষের বিশ্বাস, ধ্যান ধারণা ও দৃষ্টিভঙ্গি থেকেই যখন মানবতাবোধ উৎসারিত হয়, তখন সেটিই হয় প্রকৃত মানবতাবোধ। এর সাথে কোনো বৈষয়িক স্বার্থ জড়িত থাকে না। ইসলামী সংস্কৃতি মানুষের মাঝে এ নিঃস্বার্থ মানবতাবোধ সৃষ্টিতেই সদা সক্রিয়।
আল্লাহ মানুষের জন্য জীবন যাপনের যে বিধান দিয়েছেন, তার চাইতে সুন্দর আর কোন বিধান হতে পারে না। আল্লাহ সুন্দর, তার প্রদত্ত বিধানও সুন্দর। এই সুন্দরতম বিধান মুমিনরা নিজেদের জীবনে ফুটিয়ে তোলে। তাই তারা মানুষের মাঝে সুন্দরতম মানুষ। তাদের জীবন সুন্দর জীবন, শ্রেষ্ঠ জীবন, মহৎ জীবন, আদর্শ জীবন, উন্নত জীবন। তাদের জীবন সৌন্দর্য মানব সমাজকে সৌন্দর্য দান করে। মুমিনের বাস্তব জীবন হয়ে থাকে ইসলামের বাস্তব সাক্ষ্য। ইসলামের সমস্ত সুন্দর গুণ বৈশিষ্ট্য ফুলের মতো ফুটে উঠে তার চরিত্রে, তার সমস্ত কর্মে। তার আদর্শ কালচার ও জীবন ধারা থেকে মানুষ ইসলামের সৌন্দর্যকে জেনে বুঝে নেয়। এ জন্যই আল্লাহ মুসলিম উম্মাহকে লক্ষ্য করে বলেন, “আমি তোমাদের শ্রেষ্ঠ উম্মাহ বানিয়েছি, যাতে করে তোমরা জাতির কাছে সাক্ষ্য হও, আর রাসূল (সা.) হয় তোমাদের জন্য সাক্ষ্য।’
সুতরাং ইসলামী সংস্কৃতি ইসলামী আদর্শেরই সাক্ষ্যবহ। ফলে ইসলামের সমস্ত কাজের পেছনেই সক্রিয় থাকে এক পূত-পবিত্র ও অনাবিল সৌন্দর্যবোধ। এই সৌন্দর্যবোধ মু’মিন জীবনের সর্বক্ষেত্রে পরিব্যাপ্ত। কলিস হয়তো সে মহান আদর্শে উদ্ধুদ্ধ হয়ে ইসলামের ছায়ায় সমবেত হয়েছেন। তিনি আজকের আধুনিক জাহিলিয়াতের অসংখ্য ভোগ-বিলাসকে বর্জন করে দুঃসাহসিকতার সাথে জীবন বাজি রেখে ইসলাম গ্রহণের কারণও বর্ণনা করেছেন মার্জিতভাবে। এটাই ইসলামের শিক্ষা। রাসূল (সা:) বলেছেন- “গোটা পৃথিবীতে আবার নবুয়তি পদ্ধতিতে আবার খেলাফত হবে।” ইসলামের অপরূপ সৌন্দর্যে বিমুগ্ধ হয়ে আজও অনেকেই এ পথে শামিল হচ্ছে। আলোর রশ্মিতে উদ্ভাসিত করছে নিজের জীবনকে। সন্ধান পাচ্ছে শ্বাশ্বত জীবন বিধান হেরার রাজ তোরণ আল-ইসলামের। সারা পৃথিবীতে আবার ইসলাম বিজয়ী হবেই সেদিন খুব বেশী দুরে নয়। সিমন কলিস এর ইসলাম গ্রহণ বিশ্বকে আজ সে বার্তাই দিচ্ছে। মহাগ্রন্থ আল-কুরআনের ঐতিহাসিক বাণী- “সত্য সমাগত, মিথ্যা অপসৃত। সত্যের বিজয় অবশ্যম্ভাবী।