ধর্ম-টর্ম মানিনা
মাদ্রাসা-টাদ্রাসা বন্ধ করে দাও
ঘর-সংসার মানিনা
লিভ টুগেদার চালু চাই
সমকামী বিয়ের বৈধতা চাই
ইসলামী রাজনীতি বন্ধ চাই
নারী-পুরুষের অবাধ মেলামেশা চাই
“মুক্তমনা” চালু চাই

উপরোক্ত “শ্লোগান” গুলো কথিত মুক্তমনাদের নিয়মিত বক্তব্য- বিবৃতি, লেখনীতে শ্লোগানে পরিণত হয়েছে। তসলিম নাসরিন, সালমান রুশদী, লতিফ সিদ্দিকী ও তার দোসররা মানুষের জীবন প্রকৃতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে হীন নিচু প্রকৃতির রসম চালু করে বিশ্বব্যাপী কিছু অমানুষ সৃষ্টি করতে চায়।

যেসব নিচুতার ধারা চালু হলে মানুষ আত্মমর্যাদা ভুলে যায়, কুকুরের স্বভাব লাভ করে, লাজ-লজ্জা বলে কিছু থাকেনা। এতে মানুষের প্রতি মানুষের ভালবাসার বন্ধন তৈরী ও দায়িত্ব পালনের পরিবর্তে সৃষ্টি হয় জিঘাংসা, সংকীর্ণতা, লোভ এবং সৃষ্টির পরিবর্তে ভাঙ্গন!
দিন দিন এমন কুচক্রিবাজদের সংখ্যা মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। সভ্যতাকে বিকৃত অসভ্য আঘাত দিয়ে এরা আলোচনায় আসতে চায়। এতে এরা কোন কোন মহলের করুণার পাত্রও হয়। এরা এদের আপন ভুবন তৈরী করতে চায়!

সুস্থ বিবেক মাত্রই সত্য ও সুন্দরের পক্ষে। কেউ ইচ্ছে করলে ধর্ম-জীবন প্রত্যাখ্যান করে পশুর মত চলতে পারে। কিন্তু তাদের পশু সুলভ আচরণের ব্যাপ্তি মানব জীবনে ছড়িয়ে দেবে তা কখনো বরদাস্ত করা যায়না।

তাদের অসভ্যতা আমাদের সুখী পরিবারে ভাঙ্গন ধরাচ্ছে, ধর্মীয় উগ্রতা ছড়িয়ে দিচ্ছে, বেহায়াপনা ও যৌন নিপীড়ন সমাজের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছে, ধর্মকে জঙ্গি মদদ দাতার মঞ্চে দাড় করানো হয়েছে, মা-বাবা সমাজ সংসারকে বোঝা হিসেবে চিহ্নিত করে অধিক পরিমানে বৃদ্ধাশ্রম তৈরীতে মদদ দিচ্ছে। বিবাহ প্রথা ভেঙ্গে লিভ টুগেদারের নামে অবাধ যৌনাচারে লিপ্ত হচ্ছে! এরা সমাজের কীট নয়ত বা কী!!

এরা অবুঝ। বিবেকহীন। আপনার সন্তান যদি পাঁচ তলা ভবনের ছাদের উপর থেকে লাফ দিতে চায় তখন কি লাফ দিতে দিবেন? নিশ্চয় যে কোন মূল্যে বাঁচাতে চাইবেন। কারণ আপনি আপনার সন্তানকে ভালবাসেন, তার এত বড় ক্ষতি কোনো ভাবেই চাইবেন না। আমরা আল্লাহকে ভালবাসি, ইসলামকে ভালবাসি, সমাজ-সংসারকে ভালবাসি। আমাদের বিশ্বাস ও মূল্যবোধকে ভালবাসি। কারো হঠকারীতার কারণে সব ভিন্ন পথে মোড় নেবে তা কি করে হয়?

আগামী প্রজন্ম আমাদের ভবিষ্যৎ। তাদের সঠিক পথে পরিচালিত করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। ফুলে ফলে সাজানো বাগান কিছু দুষ্কৃতিকারী এসে তছনছ করে দিবে এটা কখনো হতে পারেনা। এদের অনাচারকে রুখে দিতে হবে। আসুন সবাই একটি সুন্দর পৃথিবী গড়তে অনাচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াই। সত্যের বিজয় অবশ্যম্ভাবী।